ছেলেদের জন্য কতগুলো স্টাইলিশ হেয়ার কাট!
নিজের চুলের স্টাইল নিয়ে অনেক ছেলেই দোটানায় ভোগেন। কেউ গরমে আরামের জন্য ছোট চুল রাখতে ভালোবাসেন। আবার কেউ বড় চুল কেটে ছোট করতে একদম-ই নারাজ। সময়ের সঙ্গে চুলের কাটে ভিন্নতা এনে নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করেন কেউ কেউ।
নিজের মুখমণ্ডল, শরীরের গড়ন, পেশা—এগুলোর ওপর নির্ভর করেই চুলের স্টাইল করা উচিত। তবে, গরমের সময় চুল যতটা সম্ভব ছোট করে ছেঁটে নিলেই ভালো। না হলে মাথায় ঘাম বসে যেতে পারে। আর যাঁরা বড় চুল রাখতে চান, তাঁরা নিয়মিত শ্যাম্পু করে চুল পরিষ্কার রাখতে পারেন। এই সময়ে বেশ কিছু জনপ্রিয় স্টাইলের চুলের কাট নিয়ে আমাদের এই আয়োজন।
কথায় আছে আগে দর্শনদারি তারপর গুণবিচারী। তাই নিজেকে সুন্দর রাখার চেষ্টা সবাই করে থাকে। ছেলেদের ক্ষেত্রে দর্শনদারির মূলে রয়েছে চুল। মাথা সুন্দর চুলই ছেলেদেরকে আকর্ষণীয় দেখাতে সাহায্য করে। তাই চুলকে কিভাবে আরও ফ্যাশেনেবল রাখা যায় সেই চেষ্টাই চালিয়ে যায় ছেলেরা।
স্পাইক কাট : এই স্টাইলটা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় কিশোর ও তরুণদের কাছে। সব দিকের চুলই ছোট করে কেটে হেয়ার জেল দিয়ে স্টাইল করা যায়।
ফেড কাট : এই স্টাইলে পেছনে ও কানের ওপরে চুলটা একদম থাকেই না বলা চলে। কানের কমপক্ষে এক ইঞ্চি ওপর থেকে আর পেছনে মাথার অর্ধেক ওপর থেকে কাটা শুরু হয়।
ক্রু কাট : মাথার পেছনের দিকে ও পাশের চুলগুলো ট্রিম করে কাটা হয়। আর সেখান থেকে ওপরের দিকে ক্রমান্বয়ে চুল বড় ও কিছুটা খাড়া থাকে। এই স্টাইলটা কয়েক বছর ধরেই গরমে বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
বাজ কাট : যাঁরা খুব খেলাপ্রিয়, এই স্টাইল তাঁদের কাছে পরিচিত। খেলোয়াড় ও সৈনিকদের মধ্যে এই স্টাইল বেশি জনপ্রিয়। এই কাটে চুল ট্রিমার মেশিনে কাটা হয়। চুলের দৈর্ঘ্য থাকে এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগ। গোসলের পরেও এই চুল আঁচড়ানোর দরকার পড়ে না।
লেয়ার স্পাইক : চুলের নানা ধরনের কাটের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় লেয়ার স্পাইক। এই স্টাইলের বিশেষত্যই হলো কপালের ওপরের চুল ছোট করে স্পাইক রাখা। মাথার ওপরের দিকের চুল তুলনামূলক বড় হবে। অর্থাৎ সামনের চুল খুব ছোটও না আবার খুব বড়ও না। তবে পেছনের দিকে লেয়ার স্টাইল থাকতে হবে।
ক্ল্যাসিক স্টাইল : স্টাইলটি অনেকটা সেকেলে স্টাইল। ছেলেদের চুলে এই স্টাইলটি সব সময়ের জন্য মানানসই। ক্লাসিক কাট সাধারণত মুখের গড়ন আর মাতার আকৃতি বুঝে নেওয়া হয়। এই স্টাইলের বিশেষত্ব হলো মাথার একপাশে সিঁথি করে চুল আঁচড়ানো থাকে। অফিসিয়াল কিংবা আন-অফিসিয়াল স্টাইলটি এখন পর্যন্ত সবার বেস্ট অপশন।
ইমো সুইপ : স্টাইলটি সাধারণত কম বয়সী ক্যাজুয়ালের জন্য বেস্ট। এজন্য মাঝারি লম্বা চুল থাকা প্রয়োজন। ইমো স্টাইলটির বিশেষত্ব হলো চুলের ছাঁটটি সম্পূর্ণ এলেমেলো করে রাখা। তবে সামনের চুল কিছুটা বড় থাকবে। আর মাথার পেছনের চুল স্পাইক স্টাইলে ছোট করে রাখতে হয়। সামনে এবং কানের পাশের বড় চুলগুলো পুরো মুখটিকে ঢেকে দেয়। মূলত এটিই হলো ক্যাজুয়াল ফ্যাশনের ইমো সুইপ স্টাইল।
বোর স্টাইল: স্বাস্থ্যবান ছেলেদের স্টাইল এটি। ক্যাজুয়াল ও ফরমাল দুভাবেই বেশ মানানসই। এই স্টাইলটির বিশেষত্ব হলো চুল ক্লিপার করে ছাঁটতে হয়। এ ক্ষেত্রে চুলের দৈর্ঘ্য হবে ১ ইঞ্চির ৮ ভাগের এক ভাগ। এ স্টাইলে পুরো মাথার চুল সমান থাকবে, যা দেখতে অনেকটা কদম ফুলের মতো। সাধারণত যাদের মাথা একটু বড় তাদের জন্য এটি উপযুক্ত।
লম্বা চুলের স্টাইল : ঘন লম্বা চুল অনেকেরই পছন্দ। মাথার চুল লম্বা হলে দুই কাঁধের ওপর ছড়িয়ে নানা আঙ্গিকে বহু স্টাইল করতে পারবেন অনায়াসেই। এই চুলে সাধারণত বিভিন্নভাবে স্টাইল করে রাখা যায়। চুল সোজা কিংবা কোঁকড়ানো যাই হোক না কেন, ফ্যাশনে কিন্তু ভিন্নতা এনে দেয় লম্বা চুল। লম্বা চুলে পনিটেল করে রাখলেও মানায়। আবার কিছুটা চুল খোলা রেখে অল্প চুল নিয়ে এলোমেলো ঝুঁটিও করা যায়।