জেনে নিন ত্বকের যত্নে ডিপ ক্লিনজিং করার সঠিক পদ্ধতি!!
ত্বক কে প্রতিদিন অনেক ধুলাবালির ধকল সহ্য করতে হয়। এই ধুলাবালি ত্বকের গভীর থেকে পরিস্কার করা খুব জরুরী। ত্বকের যত্নে সবচাইতে বেশী প্রয়োজন ত্বক পরিষ্কার রাখা। তবে কেবল ফেসওয়াশ দিয়ে ধুলে কিংবা ফেসপ্যাক মাখলেই হবে না। যদি ত্বক আক্ষরিক অর্থেই পরিষ্কার রাখতে চান, তাহলে প্রয়োজন ডিপ ক্লিনজিং বা ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার করা। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই জানেন না এই ডিপ ক্লিনজিং করার উপায়। বরং ভুল ভাবে ডিপ ক্লিনজিং করতে গিয়ে উল্টো ত্বকের ক্ষতি করে বসেন ও ব্রণের ম্পত সমস্যা বাড়িয়ে ফেলেন। আসুন, জেনে নেই ত্বক ডিপ ক্লিন করার বিস্তারিত পদ্ধতি।
যেভাবে করবেন ডিপ ক্লিনজিং
দিনে অন্তত একবার এভাবে ত্বক পরিষ্কার করবেন। সবচাইতে ভালো হয় বাইরে থেকে এসে করতে পারলে। বাজারে অনেক রকম কিনজিং মিল্ক বা লোশন পাওয়া যায়। এর মধ্যে নির্ভরযোগ্য উৎপাদকের জিনিসটিই বেছে নেবেন ও ব্যবহারের আগে প্রস্তুতকারকের তরফে দেয়া নির্দেশাবলি ভালোভাবে পড়ে নেবেন।
প্রথমে মুখটা আলতো করে পানি দিয়ে ভিজিয়ে আলতো করেই মুছে নিন। একটু ভেজা ভেজা থাকবে। এবার অল্প পরিমাণ লোশন বা ক্লিনজিং মিল্ক হাতে ঢেলে নিন। এবার দু’হাতে মেখে নিয়ে মুখমণ্ডল, ঘাড়, গলার ত্বকে মিল্ক বা লোশন লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন হালকাভাবে। ম্যাসাজ করার সময় আঙুল চালাবেন নিচ থেকে ওপরে। কপাল ম্যাসাজ করবেন দু’হাতের মাঝের ছয় আঙুলের ডগার সাহায্যে নিচ থেকে ওপর টানে। দু’চোখের চার পাশে ম্যাসাজ করবেন বুড়ো আঙুলের সাহায্যে অর্ধচক্রাকারে। দু’গালে ম্যাসাজ করবেন চিবুক থেকে কানের পাশ পর্যন্ত নিচ থেকে উপর টানে। মাথা পেছনে হেলিয়ে টান টান গলায় ম্যাসাজ করবেন দু’হাতের সাহায্যে নিচ থেকে উপরে লম্বা টানে। নাক ম্যাসাজ করবেন গোড়া থেকে ডগার দিকে ছোট টানে। কিন্তু ঘাড় ম্যাসাজ করবেন উপর থেকে নিচ টানে। দু’মিনিট ম্যাসাজ করার পর মুখমণ্ডল, গলা ও ঘাড়ের ক্লিনজিং মিল্ক বা লোশন টিস্যু/তুলার সাহায্যে তুলে ফেলবেন। তারপর আবার ভেজা তুলা বোলাবেন মুখে। এরপর আপনার নিয়মিত ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন মুখ। মনে রাখবেন, ফেসওয়াশ কখনই ৩০/৪০ সেকেন্ডের বেশী ত্বকে রাখা ঠিক নয়।
টিপস:
বেশি সময় ধরে ত্বকে ক্লিনজিং মিল্ক ব্যবহার করবেন না। কারণ এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।