চুলের ক্ষয়ক্ষতি জানার জন্য আছে ১০ সেকেন্ডের একটি পরীক্ষা। ওয়াটার টেস্ট নামের এই পরীক্ষাটি নিয়েই আজকের এই ফিচার। একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কতটা ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য কোন ধরনের যত্নআত্তি প্রয়োজন।
আজকাল চুলের সমস্যা প্রায় সবার। অকালে চুল পড়ে যাওয়া, চুল সাদা হয়ে যাওয়া, আগা ফাটাসহ হাজারো সমস্যা দেখা দেয় কিছুদিন পরপরই। সেগুলো সারিয়ে তোলার জন্য অনেক রকমের পণ্য ব্যবহার করি আমরা, অনেক রকমের যত্ন করি। কিন্তু এটা কি জানি যে, আমাদের চুল আসলে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত বা কী ধরনের যত্ন সেই চুলে দরকার? না জানলে ১০ সেকেন্ডের একটি পরীক্ষা এ ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে।
ওয়াটার টেস্ট নামের এই পরীক্ষাটি জানিয়ে দেবে চুল কতটা ক্ষতিগ্রস্ত, কোন ধরনের যত্নের দরকার।
১০ সেকেন্ডের ওয়াটার টেস্ট
এই টেস্টটি করা খুব সোজা। এতে প্রয়োজন শুধু এক গ্লাস ভর্তি পানির। পরিষ্কার পানিতে নিজের একটি শুকনা, পরিষ্কার, শ্যাম্পু করা চুল আস্তে করে ছেড়ে দিন ও মন দিয়ে পর্যবেক্ষণ করুন। আপনার চুল কি ভেসে থাকছে, না ডুবে যাচ্ছে? এগুলো কি গ্লাসের মাঝামাঝি গিয়ে ভেসে আছে? একেকটি ঘটনা একেক রকমের বার্তা দেব।
১. চুল ভেসে থাকলে
পানিতে চুল ভেসে থাকার মানে চুলের স্বাস্থ্য খারাপ নয়। আর এ কারণেই ভেতরে পানি প্রবেশ করতে পারেনি। এই ধরনের ফল এলে নিশ্চিত থাকতে পারেন যে টুকটাক সমস্যা ছাড়া আপনার চুল ভালোই আছে।
নিয়মিত ভালো একটি তেল ব্যবহার করুন, ভালো খাবার খান। চুলের সঙ্গে মানানসই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। ব্যস, তাতেই আপনার চুল ভালো থাকবে।
২. ডোবা আর ভাসার মাঝামাঝি হলে
এর অর্থ চুলের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে এবং এখনই যত্ন নেওয়ার সময়। এই ফল আসাটা খুব স্বাভাবিক। বেশির ভাগেরই হয়তো এই ফল আসবে। চুলের ক্ষতি আরও বাড়ার আগেই সঠিক পরিচর্যা শুরু করুন। ভালো মানের হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের পাশাপাশি নিয়মিত চুলে হেয়ার মাস্ক বা মেহেদি ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত স্টাইল বদল, রঙ করা, হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার কমিয়ে দিন। বাড়তি পুষ্টি জোগাবে এমন তেল বেছে নিন। চুল পড়া শুরুর আগেই প্রতিরোধ করুন।
এর অর্থ এই যে আপনার চুল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে পানি খুব দ্রুত চুলের মাঝে ঢুকে গিয়ে একে ডুবিয়ে দিয়েছে। অবিলম্বে চুলের ওপর সব ধরনের অত্যাচার বন্ধ করুন। নাহলে অচিরেই টাক পড়ে যাওয়া বা চুল সাদা হয়ে যাওয়ার সমস্যা দূরে নয়।
ভিটামিন ‘ই’ সমৃদ্ধ অ্যালোভেরা জেল চুলকে খুব পুষ্টি জোগায়। একে হেয়ার মাস্ক হিসেবে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়াও মেহেদি, মেথি, আমলকী দিয়ে তৈরি হেয়ার অয়েল ব্যবহার করুন। খুব ভালো মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করতেও ভুলবেন না। একই সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি তো অবশ্যই প্রয়োজন।
–কিছুদিন পরপরই এভাবে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন চুলের স্বাস্থ্যের অবস্থা। ফলে আপনার চুলের কতটা উন্নতি হয়েছে, তা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।
Related