ঘুমানোর আগে ত্বকের সাধারণ যত্ন
সারাদিনের ঘোরাঘুরি, দূষণ, ধূলা, কেমিক্যালযুক্ত কসমেটিক্স ব্যবহারের কারণে ত্বকের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এছাড়া দিনভর নানা ধরনের মানসিক কিংবা কাজের চাপ তো আছেই। এসব কিছুই ত্বকের ওপর বেশ প্রভাব ফেলে। এজন্য রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, ঘুমন্ত অবস্থায় ত্বকের সেল বেশি বৃদ্ধি পায়। একারণে সন্ধ্যায় করা ফেসিয়াল ত্বকের বেশি কাজে লাগে। গবেষক দলের একজন ডা. ডে এর মতে, বেশিরভাগ মানুষ ভালভাবে তাদের মুখ পরিষ্কার করে না। অথচ সারাদিনের ধুলা- ময়লা, ঘাম রোমকূপে জমে রোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তাই রাতে শোওয়ার আগে ত্বক পরিষ্কার না থাকলে, রোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ত্বকের লাবণ্য নষ্ট হয়ে যায়, ত্বক রক্ষ দেখায়। তাই স্বাভাবিক, শুষ্ক বা তৈলাক্ত যে ধরনের ত্বকই হোক না কেন রাতে ক্লিনজিং-টোনিং-ময়শ্চারাইজ়িং একান্ত জরুরি।
রাতে ঘুমানোর আগে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞরা। ক্লিনজ়িং এর পর টোনিং করাটা জরুরি।
মুখ পরিষ্কার করার পর তুলোয় টোনার নিয়ে ভাল করে মুখ মুছে নিন। ত্বক মসৃণ, টানটান এবং উজ্জ্বল রাখার জন্য টোনিং-এর কোনও বিকল্প নেই। বাজারে নানা ধরনের টোনার পাওয়া যায় আজকাল।গোলাপ পানিও টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।তুলোয় গোলাপ পানি নিয়ে মুখ মুছে নিতে পারেন।এছাড়া শশার রস ও গোলাপ পানি মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটাও টোনার হিসেবে দারুন কাজে দেবে।
মুখ ভালভাবে পরিষ্কার করার পর মুখে ময়শ্চারাইজিং ক্রিম লাগান। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
মুখের ক্রিম লাগানোর পর শোওয়ার আগে চোখের ক্রিম লাগানোও জরুরি। হাতে কয়েকফোঁটা আমন্ড অয়েল নিয়ে চোখের চারপাশে লাগিয়ে হালকাভাবে একমিনিট মাসাজ করুন। এতে একদিকে যেমন চোখের চারপাশের চামড়া ভাল থাকবে তেমনি চোখের নিচের কালো দাগের সমস্যাও কমে যাবে।