ভালোবাসা দিবসে নিজেকে সাজান ভালোবাসার রঙ্গে!
ভালোবাসা যেমন কড়া নাড়ে আমাদের সবার হূদয়ের প্রতিটি পরতে, তেমনি ছোঁয়াও লাগে আমাদের দৈনন্দিন জীবনধারায়ও। যতই দিন যাচ্ছে ততই গুরুত্ব বাড়ছে ভালোবাসা দিবসের। ভালোবাসার উত্সবকে বরণ করে নেবার প্রস্তুতি তাই চারিদিকে। ভালোবাসার এই দিনে আপনি সেজে উঠুন নতুন সাজে।
পহেলা ফাল্গুনে সারাদিন ঘুরে ক্লান্ত হয়ে ফিরে শুরু হবে ভালোবাসা দিবসের সাজের চিন্তা। আমরা পুরো বছর অপেক্ষা করে থাকি এই দিনটির জন্য। বিশেষ এই দিনে আমরা সবাই চাই নিজেকে সবচেয়ে সুন্দর আর আকর্ষণীয় ভাবে প্রিয়জনের সামনে উপস্থাপন করতে। সুন্দর চেহারা, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব আর মোহনীয় হাসি আর কী চাই বিশেষ এই দিনে।
‘ভালোবাসা’ দিবসে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, জিনস-টপস, ফতুয়া যেকোনো পোশাক আপনি পরতে পারেন। তবে পোশাকের রং এর সঙ্গে মিল রেখে সাজগোজ করুন। দিনের সাজে হালকা মেকআপ করুন। ফাউন্ডেশনের হালকা বেজ করে, কমপ্যাক্ট পাউডার বুলিয়ে নিন। গোলাপি বা ব্রাউন লিপস্টিক আর গালে হালকা ব্লাশন লাগান। চোখে হালকা রঙ এর শ্যাডো লাগিয়ে আইলাইনার দিন।
এছারাও চুল আয়রন করে খুলে বা ব্যাণ্ড দিয়ে বেঁধে রাখতে পারেন। পোশাকের সঙ্গে মানানসই দুল পরুন। সারাদিনের জন্য তৈরি হয়ে গেলেন। এবার পছন্দের সুগন্ধি মেখে প্রিয়জনের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ুন। রাতে ইচ্ছে মতো সাজতে পারেন। পোশাক এবং সাজ দুটোই হবে গাঢ় রং-এর। প্রথমেই দুধ, মধু ও ময়দার মিশ্রণ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। এরপর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। ত্বকের রং-এর সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন মুখে ও গলায় লাগিয়ে একটা ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ফাউন্ডেশন দেয়ার পরও মুখে যদি ভাঁজ বা দাগ থাকে তাহলে কনসিলার ব্যবহার করুন। এবার কমপ্যাক্ট পাউডার দিন।’
চোখ: প্রথমেই আসি চোখের সাজের কাছে। ফাউন্ডেশন লাগানোর সময় চোখের ওপর ও নিচে ভালো করে মিলিয়ে দিন। চোখের তলায় কালি থাকলে কনসিলার দিয়ে নিন। আর যদি ফেস পাউডার ব্যবহার করেন তাহলে ব্রাশ দিয়ে পাউডার ভালো ভাবে ঝেড়ে নিন। এরপর চোখের ওপর সারা পাতাজুড়ে বেস আইশ্যাডো লাগান। পোশাকের সাথে মিলিয়ে বা দুই বা তিনটি শেড মিলিয়ে আইশ্যাডো লাগিয়ে নিন। ভ্রূ’র ঠিক নিচে হাইলাইটার লাগান। কাজল শুধু চোখের ভেতর লাগান, ওপরে ও নিচে আইলাইনার লাগান। যারা আইলাইনার ব্যবহার করতে চান না, তারা একটু গাঢ় করে কাজল লাগাতে পারেন। সবশেষে ২-৩ কোটে মাশকারা লাগান।
নাক : নাক একটু ছোট ও মোটা হলে দু’পাশে ডার্ক শেডের ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। এতে করে নাক শার্প দেখাবে। নাকের ওপরের অংশে লাইট শেডের ফাউন্ডেশন এবং কম্প্যাক্ট লাগিয়ে নিন।
ব্লাশন: গোলাপী, বাদামী শেডের ব্লাশন ব্রাশে নিয়ে নিন। একটু হেসে নিয়ে আপনার গালের আপেল পয়েন্ট সিলেক্ট করুন এবং চিক বোন এ ব্লাশন লাগান।
ঠোঁট: লিপস্টিক লাগানোর সময় প্রথমে ঠোঁটে একটু পাউডার লাগিয়ে নিলে ভালো হয়। তারপর লিপ পেন্সিল দিয়ে হালকা করে আউট লাইন এঁকে নিন। তারপর ঠোঁটের মাঝখানে লিপ ব্রাশ দিয়ে লিপস্টিক লাগিয়ে নিতে পারেন অথবা লিপগ্লসও ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের সাজ: চুলের সাজের সময় আপনার মুখের গড়নের কথাও মাথায় রাখুন। যাদের মুখ গোল, তারা কপালের দিকটা কম ফোলান। লম্বাটে চেহারা যাদের, তারা পেছনের দিকটা ফুলিয়ে নিতে পারেন। চাপা মুখের যারা, তারা দুই পাশেই হালকা করে চুল ফুলিয়ে চুল সেট করে নিন।
তবে চেহারার আকৃতি যেমনই হোক, চুল একপাশ থেকে ছেড়ে দিলে আপনাকে সুন্দর দেখাবে। পনিটেলও করতে পারেন। অনেকে কোঁকড়া চুল পছন্দ করেন। তারা চুল কোঁকড়া করে ছেড়ে দিতে পারেন।
গহনা: পোশাক এবং সাজের সঙ্গে মিলিয়ে কানে গলায় ও হাতে পছন্দ মতো গহনা পরুন।
সুগন্ধি: পছন্দের সুগন্ধি ব্যবহার করে আপনার বিশেষ দিনের সাজ পূর্ণ করুন।
যেভাবেই সাজুন না কেন খেয়াল করবেন, আপনি সাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন কি না। আর ভালোবাসা দিবসের সাজে সঙ্গীর পছন্দের প্রাধান্য দিন। জীবনের প্রতিটিদিনই ভালোবাসায় ভরে থাক। সবার জন্য শুভ-কামনা।